Definition Of Pricing | Types Of Pricing in Bengali
বর্তমান
সময়টা তথ্য প্রযুক্তির যুগ। আর এই সময় অনলাইন ব্যবসা এর অনেক প্রসার হয়েছে । হয়ত কিছুদিন
আগেও আমরা চিন্তা করতে পারতাম না, নিত্যাদিনের জিনিষ গুলো অনলাইন এ অর্ডার করলে ঘরের দুয়ারে এসে
হাজির হবে।
অনলাইন অথবা অফলাইন যে ব্যবসা হয়ে থাকুক না কেন, পন্যের মূল্য নির্ধারন অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পন্যের মূল্য এর উপর ব্যবসা এর সফলতা অনেকখানি নির্ভর করে। তাই পন্যের মূল্য নির্ধারনে হতে হয় অনেক সচেতন ।
প্রথমে
জেনে রাখি মূল্য সম্পর্কে।
মূল্য(Price): পন্যের
উপযোগ পেতে আমরা যেই খরচ টা করি সেটাই মূল্য
অথবা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ
দ্বারা যে পরিমান দ্রব্য ক্রয় করা যায় তাকেই মূল্য বলে। যেমন ৫ টাকা দিয়ে একটি কলম
পাওয়া যায়, তাহলে কলমের মূল্য হল ৫ টাকা।
এখন
আপনাদেরকে জানাবো বহুল ব্যবহুত কিছু পন্যের
মূল্য নির্ধারনের কৌশল। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ।
১)
ব্যয় ভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ(Cost
based pricing):
যখন কোন পন্য প্রস্তুত করার পর সেটা ভোক্তার কাছে
আসা পর্যন্ত যেই খরচটুকু হয় তার সাথে লাভ যোগ করে, যখন কোন কোম্পানি তার পন্যের মূল্য নির্ধারন করে থাকে তখন তাকে ব্যয় ভিত্তিক
পন্যের মূল্য নির্ধারণ বলে। এইটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহুত মূল্য নির্ধারন
পদ্ধতি
যেমনঃ
একটি কলম তৈরি করতে খরচ হয় ৩ টাকা, পরিবহন বাবদ খরচ হয় ১ টাকা, আর লাভ হল ১
টাকা। তাহলে পন্যের মূল্য হল ৩+১+১=৫ টাকা
২) প্রতিযোগিতা মূলক মূল্য নির্ধারন(Competition
Based Pricing):
যখন কোন কোম্পানি তাদের পন্যের মূল্য, বাজারের প্রতোযোগিদের
পন্যের মূল্যর উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করে থাকে, তাকে প্রতিযোগিতা মূলক মূল্য নির্ধারন বলে। এই ধরনের পদ্ধতিতে
পন্যের খরচ এর চেয়ে বাজারের অন্য প্রতিযোগীদের
তথ্য কে বেশি মূল্যয়ন করা হয়।
যেমনঃ যখন একটি
নতুন চা পাতা বাজারে প্রবেশ করল, সেখানের বাজারে অন্য চা পাতার মূল্য ৪০০ টাকা
প্রতি কেজি , কিন্তু তার যদি খরচ এর চেয়ে বেশি হয় তখন সেই কোম্পানি বাজার মূল্য এর
চেয়ে বেশি মূল্য নির্ধারন করতে পারবেন না, কেননা কেউ কিনবে না। তাই সেই নতুন কোম্পানিটিকে
অন্য কোম্পানির পন্যের মূল্য বিবেচনায় রেখে পন্যের মূল্য নির্ধারন করতে হবে ।
৩) মানভিত্তিক মূল্য নির্ধারন(Value Based
Pricing):
এইটি অন্য পদ্ধতি হতে ভিন্ন । এই পদ্ধতিতে ক্রেতাদের
বেশি মুল্যয়ন করা হয়। একজন ক্রেতা সিদ্ধান্ত
নিবে পন্য টার মূল্য বেশি নাকি কম। এককথায় বলা যায় ক্রেতা যদি মনে করে কোন পন্যের দাম
সেই পন্যের জন্য যথাযথ, আর এই ক্রেতার মূল্যয়ন এর উপর ভিত্তি করে যখন কোন পন্যের দাম
নির্ধারণ করা হয় তখন তাকে মানভিত্তিক মূল্য নির্ধারন বললে
যেমনঃ একটি মোবাইল এর সব ফিচার দেখে ,মনে হল এর দাম যদি
২০,০০০ টাকা হয়, তাহলে যথাযথ হবে। তখন সেই দামে যদি কোম্পানি মোবাইল টা বাজারে আনে,
তখন তাকে মানভিত্তিক মূল্য নির্ধারন বলে।
নতুন পন্যের ক্ষেত্রে এই নিচের ২টি পদ্ধতি বেশি ব্যবহার করা হয়।
৪) স্কিমিং
মূল্য(Skimming pricing strategy):
উচ্চ মূল্য
যখন কোন পন্য বাজারে আনা হয় তখন তাকে স্কিমিং বলা হয় ।
যেমনঃ অ্যাপল কোম্পানি তাদের আইফোন উচ্চ মূল্য বাজারে ছাড়ে।
৫) পেনেট্রেশন মূল্য(Penetration
Pricing Strategy): নিন্ম মূল্যে যখন কোন পন্য বাজারে আনা হয় তখন তাকে পেনেট্রেশন
মূল্য বলে।
যেমনঃ IKEA তাদের
পন্য অল্প মূল্য দিয়ে চাইনার ৪৩% বাজার দখল করে নেয়।,
ধন্যবাদ।
Comments
Post a Comment